রসায়ন বিজ্ঞান একটি আকর্ষক বিষয় যেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের 'পদার্থ' এবং তাদের পরস্পরের সাথে কীভাবে রূপান্তরিত বা 'বিক্রিয়া' করতে পারে তা সম্পর্কে শিখি। জৈব রসায়ন একটি নির্দিষ্ট রসায়নের শাখা যা কার্বন এবং এর যৌগগুলি সম্পর্কে অধ্যয়ন করে। এটি ভ্রান্তিকর মনে হতে পারে কিন্তু এটি প্রকৃতপক্ষে খুব আকর্ষক এবং নানাবিধ নতুন জিনিস তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
কার্বন একক কারণ এটি অন্যান্য মৌলিক পদার্থের সাথে বন্ধন গঠন করে অসংখ্য ভিন্ন ধরনের যৌগ তৈরি করতে পারে। এমন যৌগগুলি প্রকৃতি থেকে আসতে পারে, যেমন উদ্ভিদ ও প্রাণীদের কাছ থেকে, অথবা রসায়নবিদদের দ্বারা পরীক্ষাগারে তৈরি করা যেতে পারে। জৈব রসায়নে আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে কীভাবে এই অণুগুলি গঠিত হয় এবং কীভাবে আমরা নতুন ও আকর্ষক উপকরণ তৈরির জন্য সেগুলি ব্যবহার করতে পারি।
বিশ্ব নানা অদ্ভুত রাসায়নিক পদার্থে পরিপূর্ণ যেগুলি জটিল গঠন নির্মাণে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাকৃতিক যৌগগুলি কীভাবে সংযুক্ত হয় তা বুঝতে পেরে বিজ্ঞানীরা সেগুলি অনুকরণ করতে শেখেন এবং পরীক্ষাগারে সেগুলির উন্নতি করতে পারেন। এর ফলে তাঁরা ওষুধ থেকে শুরু করে প্রযুক্তি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নতুন পদার্থ তৈরি করতে সক্ষম হন।
যেমন সহজ জৈব উপাদানগুলি জৈব রসায়নের লেগো ইটের মতো। এই সাধারণ নির্মাণ খণ্ডগুলি নিয়ন্ত্রণ করে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সেগুলির পরিবর্তন করে বিজ্ঞানীরা কার্যকরী পণ্য তৈরি করতে পারেন যেগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওষুধ থেকে প্লাস্টিক পর্যন্ত, এই ধরনের জৈব সংশ্লেষণ আমাদের জীবনকে আরও ভালো করে তুলতে নানা জিনিস তৈরি করতে সাহায্য করে।
একটি জৈব সংশ্লেষণের প্রয়োগ এটি নতুন ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অবশ্যই খুব পুরস্কারযোগ্য। বিজ্ঞানীরা ল্যাবে নতুন অণুগুলি বিকশিত এবং পরীক্ষা করতে পারেন যেগুলি ভবিষ্যতে রোগ নিরাময় ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। জৈব সংশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতপক্ষে প্রকৃতির শক্তির সদ্ব্যবহার করতে পারি এবং এই প্রাকৃতিক যৌগগুলি রাসায়নিকভাবে রূপান্তর করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধে পরিণত করতে পারি।